ভালেনসিয়া ক্লাব দে ফুটবল, সাধারণত ভালেনসিয়া CF নামে পরিচিত, স্পেনের ভালেনসিয়া শহরে অবস্থিত একটি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। ক্লাবটি ১৯১৯ সালের ১৮ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি স্পেনের অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব।
ভালেনসিয়া CF লা লিগায় খেলে, যা স্পেনের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ। ক্লাবটি তার বাড়ির ম্যাচগুলি এস্তাদিও দে মেস্তায়ায় খেলে, যা ১৯২৩ সাল থেকে তাদের হোম গ্রাউন্ড। এই স্টেডিয়ামটি ৫৫,০০০ দর্শক ধারণ করতে পারে এবং এটি ইউরোপের অন্যতম আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম হিসেবে বিবেচিত।
প্রাথমিক বছরগুলিতে, ভালেনসিয়া আঞ্চলিক লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। ১৯২০-এর দশকে তারা জাতীয় পর্যায়ে উত্থান শুরু করে এবং ১৯৩০-এর দশকে তারা স্প্যানিশ ফুটবলে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৪০-এর দশক ছিল ক্লাবের জন্য বিশেষভাবে সফল, যখন তারা চারটি লা লিগা শিরোপা জিতেছিল (১৯৪১-৪২, ১৯৪৩-৪৪, ১৯৪৬-৪৭, এবং ১৯৭০-৭১)।
ভালেনসিয়া CF ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায়ও সফলতা অর্জন করেছে। তারা ১৯৮০ এবং ২০০৪ সালে UEFA কাপ (বর্তমানে UEFA ইউরোপা লিগ) জিতেছে। ২০০০ সালে, তারা UEFA চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছেছিল, যদিও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়।
ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী রঙ হল সাদা এবং কালো, যদিও তারা তাদের হোম জার্সিতে প্রায়শই কমলা রঙ ব্যবহার করে। ভালেনসিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হল লেভান্তে (একই শহরের আরেকটি ক্লাব) এবং ভিলারিয়াল। তবে, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের সাথে।
ভালেনসিয়া CF তাদের যুব একাডেমির জন্যও বিখ্যাত, যা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করেছে যারা পরবর্তীতে ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। ক্লাবের কিছু কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের মধ্যে রয়েছে মারিও কেম্পেস, ডেভিড ভিয়া, গায়কা মেন্ডিয়েতা, এবং রবার্তো সোলদাদো।
২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে, ক্লাবটি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যা তাদের ক্রীড়া সাফল্যকে প্রভাবিত করেছে। তবে, সমর্থকদের অটুট সমর্থন এবং ক্লাবের সমৃদ্ধ ইতিহাস ভালেনসিয়া CF কে স্প্যানিশ ফুটবলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে।
ভালেনসিয়া CF শুধু একটি ফুটবল ক্লাব নয়, এটি ভালেনসিয়া শহর এবং ভালেনসিয়ানো সম্প্রদায়ের একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক। ক্লাবের সাফল্য এবং সংগ্রাম উভয়ই শহরের ইতিহাসের সাথে গভীরভাবে জড়িত।
বর্তমানে, ভালেনসিয়া CF স্প্যানিশ ফুটবলে তার ঐতিহ্যবাহী অবস্থান ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। নতুন প্রতিভা বিকাশ, আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং প্রতিযোগিতামূলক দল গঠনের মাধ্যমে ক্লাবটি আবারও ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখে।